কমলকন্ঠ ডেস্ক ।।
কমলগঞ্জ উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক আব্দুল বাছিতকে সন্ত্রাসী কতৃক পথরোধ করে প্রাণনাশের চেষ্টা।এরই প্রতিবাদে সাংবাদিকসহ নানা পেশার মানুষের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত।
আজ ১৪ আগষ্ট দুপুরে কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমোহনা চত্বরে’ সর্বস্থরের সাংবাদিকসহ নানা পেশার মানুষের অংশ গ্রহণে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কমলগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে মোটারসাইকেল আটকিয়ে সাংবাদিক আব্দুল বাছিত খাঁনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার প্রতিবাদে ও ঘটনায় হামলার মূল পরিকল্পনাকারীসহ হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাপ্তাহিক কমলগঞ্জের প্রকাশক ও সম্পাদক ও কমলগঞ্জ পৌর মেয়র মোঃ জুয়েল আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক সাজিদুর রহমান সাজু ও মোস্তাফিজুর রহমানের যৌত সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জু, সাংবাদিক ইসমাইল মাহমুদ, সাংবাদিক নুরুল মোহাইমিন মিল্টন, সাবেক সভাপতি কমলগঞ্জ প্রেসক্লাব এম এ ওয়াহিদ রুলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমদ, প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাব এর সদস্য সচিব মশাহিদ আহমদ, জুড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও জুড়ি রিপোর্টারস ইউনিটির সভাপতি মনিরুল ইসলাম, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী জুসেফ আলী চৌধুরী নির্মল এস পলাশ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, আব্দুল বাছিত খান একজন নিরিহ প্রকৃতির লোক। সে প্রায়ই সমাজের নানা সমস্যা, অনিয়ম ও দূর্নীতি তুলে ধরে সংবাদ পরিবেশন করছিল। তাছাড়া তার স্বজনদের সাথে জমি নিয়ে ইউপি সদস্য ওয়াতির আলীর বিরোধে মামলা হলে মামলায় ওয়াতির আলী গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করে। এসব নিয়েও সাংবাদিক
আব্দুল বাঁছিত সংবাদ পরিবেশন করে। তার এ কাজের জন্য একটি মহল পেশাদার খুনি ভাড়া করে শনিবার প্রকাশে দিবালোকে কমলগঞ্জ-মুন্সীবাজার সড়কে উবাহাটা এলাকায় মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে অপর মোটরসাইকেলে হেলমেট পরা ৩ জন সন্ত্রাসী দা ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতারী ভাবে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে সাংবাদিকরা জোর দাবি জানান, অবিলম্বে মূল পরিকল্পনাকারীসহ হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় কমলগঞ্জসহ মৌলভীবাজার জেলার সাংবাদিকরা বড় ধরনের আন্দোলন শুরু করবেন বলে জানান। উল্লেখ্য- গত ১৩ আগষ্ট উপজেলার উবাহাটা নামক স্থানে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক বাছিতকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। ডান হাত দেহ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন । কাঁদে ও পায়ে, তলপেটে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন। উপজেলা হাসপাতাল, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঐদিনই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ দুপুরে তার একটি অস্ত্রপা
চার হয়েছে বলে জানাগেছে। প্রাপ্ত সুত্রমতে শনিবার রাতে ও ভোরে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ সন্দেহমূলকভাবে ২ জনকে আটক করে, ৫৪ ধারা দেখিয়ে আদালতের মাধ্যেমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন- ঘটনার পর থেকে পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ সরেজমিন তদন্তসহ আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। এমনকি পুলিশ সদর দপ্তরও আসামীদের অবস্থান নির্নয় করলে উচ্চ পর্যায়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তাছাড়া সরকারের অন্যান্য বিভাগও মাঠে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, আক্রান্ত সাংবাদিকের স্ত্রী ও পরিজনরা তার সাথে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অবস্থান করছেন বলে থানায় এখনও কোন মামলা হয়নি। তারপরও পুলিশ তদন্তক্রমে আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা করছে। তারা আশাবাদি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারীসহ হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে পারবেন।