কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।।
চা শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প। জাতীয় অর্থনীতিতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই চা উৎপাদনের যারা সরাসরি জড়িত তাদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ, সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিতকরণ, পারিবারিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় ‘চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম’ চালু করে এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে আর্থিক অনুদানের ৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদানের চেক চা বাগানগুলোতে পর্যায়ক্রমে বিতরণ চলছে। চা শ্রমিকদের মধ্যে ৫ হাজার টাকার এ চেক ব্যাংকে জমাদানের জন্য একটি একাউন্ট করে টাকা উত্তোলন করতে হচ্ছে বাগানের শ্রমিকরা।
এদিকে এই একাউন্ট করতে মাত্র ১০ প্রদানের নিয়ম থাকলেও তার পরির্বতে নানা খরচ দেখিয়ে মিরতিংগা চা বাগানে ইউপি সদস্য ধনা বাউরী উপকারভোগী চা শ্রমিকদের কাছ থেকে ১০০/২০০ টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ইউপি সদস্য বিষয়টি অস্বীকার করেন।
জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে রহিমপুর ইউনিয়নের মিরতিঙ্গা চা বাগানে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প আওতায় ৫ হাজার টাকা প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের চেক ৩০৪ জন শ্রমিক মধ্যে বিতরণ করা হয়। বিতরণকৃত ৫ হাজার টাকার চেক ১০ টাকার মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্ট করে এই টাকা উত্তোলন করে চা শ্রমিকরা। তবে অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন খরচের কথা বলে বাগানের প্রায় ২ শতাধিক চা শ্রমিকদের কাছ থেকে ১০০/২০০ টাকা হারে বাগানের স্থানীয় ইউপি সদস্য ধনা বাউরী শ্রমিকদের কাছ থেকে আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।
মিরতিংগা চা বাগানের উপকারভোগী বুধু রবিদাস, ফুলমতি রবিদাস, বাবুল রবিদাস, জয়ন্তী নায়েক, রামপ্রসাদ, ইমরান আহমদসহ বেশ কয়েকজন চা শ্রমিক জানান, তারা ৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। তবে টাকা পেতে গিয়ে ওয়ার্ড মেম্বারকে খরচপাতি বাবত ১০০ টাকা করে দিয়েছেন। আরও একাধিক চা শ্রমিক জানান, বাগানের প্রায় অর্ধেকের কাছ থেকে ১০ টাকার পরির্বতে ১০০/২০০ টাকা আদায় করেছেন ইউপি সদস্য।
মিরতিংগা চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি মন্টু অলমিক মুঠোফোনে বলেন, বিভিন্ন খরচ বাবত ইউপি সদস্য ১০০ টাকা করে নিয়েছেন।
তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ধনা বাউরী টাকা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। চা শ্রমিকদের কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ব্যাংকের একাউন্ট করতে ১০ টাকা লেগেছে। এটি আমার বিরুদ্ধে একটি মহলের ষড়যন্ত্র।
কমলগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রাণেশ বর্মণ মুঠোফোনে জানান, ১০ টাকা করে রাখা হয়েছে ষ্ট্যাম্প বাবত। আর কোন খরচ নয়।