কমলকন্ঠ ডেস্ক ।।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের ভাদাইরদেউল এলাকা থেকে ৪ মাস পর কবর থেকে এক যুবকের লাশ উত্তোলন করা হয়। গত ১৮ মে নিহতের মা নুর জাহান বেগম বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কোনও ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করা হয়েছে এমন অভিযোগ করা হলে লাশ উত্তোলন করে ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।
আদালতের নির্দেশে আজ ৯ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে ৪ মাস ৮দিন পর স্থানীয় বড়চেগ বিক্রমপুর কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত নজরুল ইসলাম এর ভাই মোঃ বদরুল ইসলাম জানান, তার ভাইকে তার স্ত্রী ও শশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। নিহত নজরুল ইসলাম কমলগঞ্জ উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের চিতলিয়া গ্রামের রঙ্গু মিয়ার কন্যা মশকুরা বেগমকে বিয়ে করেন।
গত ২৭ জানুয়ারী ২০২২ইং তারিখে শশুর বাড়িতে একটি অনুষ্টানে যোগ দিতে যান। গত ১ ফ্রেব্রুয়ারী ২০২২ইং তারিখে নজরুল ইসলাম এর বাড়িতে তার শশুর বাড়ির লোকজন খবর দেয় দাতের ব্যাথায় নজরুল ইসলাম মারা গেছে। নিহতের পরিবাবারের লোকজনের সন্দেহ হয় নজরুল ইসলামকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গত ১৮/০৫/২০২২ইং তারিখে নিহতের মা নুর জাহান বেগম বাদি হয়ে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শমশেরনগর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন জানান, আমরা আদালতের নির্দেশনা পেয়ে নিহত নজরুল ইসলাম এর লাশ উত্তোলন করে মর্গে প্রেরণ করি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকারের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।