কমলকন্ঠ ডেস্ক ।। মৌলভীবাজারের এক গৃহবধুকে পানি পানের কথা বলে ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভিকটিম।
ভিকটিমের অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৫ মে) বিকেলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। ভিকটিম ওমান প্রবাসীর স্ত্রী। তাদের তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে অভিযুক্ত সেলিম মিয়াকে (২৮) আসামি করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত সেলিম মিয়া পাশের গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী হিসাবে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে।
ভিকটিমের অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত সেলিম মিয়া (২৮) পাশের গ্রামে বাসিন্দা। ভিকটিমের বাড়িরে সামনে রাস্তা দিয়ে প্রায় আসা যাওয়া করতেন। সে সুবাদে বউদি বলে ডাকতেন। গত বুধবার (৫ মে) বিকালে শ্বাশুড়ী ভিকটিমের মেয়েকে নিয়ে মুদির দোকানে কেনাকাটা করতে যান। এসময় ভিকটিম বাড়িতে একা ছিলেন। সেই সময় সেলিম মিয়া বাড়িতে যান ভিকটিমের কাছে পানি পান করতে চান। ভিকটিম পানি আনতে গেলে সেলিম মিয়া কক্ষে প্রবেশ করে জোরপূর্বক দরজা লাগিয়ে দেন। তখন ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। ভিকটিমে চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে সেলিম মিয়া (২৮) পালিয়ে যান। ভিকটিম এখন চিকিৎসাধীন আছেন।
ভিকটিমের দেবর বলেন, আমি সেদিন বাড়িতে ছিলাম না। ঘটনা পরে শুনেছি। ঘটনার পরে বউদিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও আসামি গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানান ভিকটিমের দেবর।
মৌলভীবাজার মডেল থানা ওসি ইয়াসিনুল হক বলেন, বিষয়টি আমি এখনও জানিনা। বিষয়টি খবর নিয়ে দেখছি।