Logo

মৌলভীবাজারে ঘুড়ি উৎসব

রিপোটার : / ১২৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২

image_pdfimage_print

কমলকন্ঠ ডেস্ক ।। কচ্ছপ ঘুড়ি, ঈগল ঘুড়ি, ডলফিন ঘুড়ি, বাঘ ঘুড়ি, ব্যাটম্যান ঘুড়ি, চিল ঘুড়ি। সোমবার (৭ মার্চ) নানা জাতের আর নানা রঙের ঘুড়ি উড়েছিলো মৌলভীবাজারের আকাশে। ঘুড়ি-নাটাইয়ের দুরন্ত উৎসবে সেজেছিলো মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ। তাতে যোগ দেন ছেলে-বুড়ো, শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘জয় বাংলা ঘুড়ি উৎসব’।

শহরের মোস্তফাপুর থেকে ঘুড়ি ওড়াতে আসেন শিক্ষিকা রূপন্তী ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে ঘুড়ি ওড়ানোর শখ। আমার বাবা ঘুড়ি ওড়ানো শিখিয়েছিলেন। মৌলভীবাজারে কখনও ঘুড়ি উৎসব হয়নি। সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের এই ঘুড়ি উৎসবের কথা শুনেই চলে এসেছি।’ 

ঘুড়ি ওড়াতে এসেছিলো আট বছরের শিশু সাফওয়ান আরহাম। সাফওয়ানের সাথে কথা হয় আই নিউজ এর। সাফওয়ান বলে, ‘আমি কখনও ঘুড়ি উৎসব দেখিনি।’সাফওয়ানের পাশে দাঁড়ানো সাদমান সাকিবের চাওয়া মৌলভীবাজারে এরকম নিয়মিত ঘুড়ি উৎসব হোক। 

কথা হয় আরেক শিশু মধুরিম চৌধুরীর সাথে। মধুরিমা জানায় এটাই তার প্রথম ঘুড়ি উৎসব দেখা। মধুরিমা বলে, ‘আমি খুব আনন্দ পেয়েছি। আমার এরকম উৎসব ভালো লাগে।’ ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে তানভির আজিজ। ছোট্ট তানভিরের দৃষ্টিতে মোবাইলে গেম খেলার চেয়ে এরকম উৎসব বেশি আনন্দের, বেশি  ভালো লাগে।

শুধু ছোট্ট শিশুরা যে ঘুড়ি উৎসব উপভোগ করেছে তা  নয়। মাঠে ছেলে-বুড়ো, তরুণ, মধ্যবয়সী সকল শ্রেণীর লোকজনকে ঘুড়ি উৎসব উপভোগ করতে দেখা যায়।  জনপ্রতিনিধি এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও ঘুড়ি উৎসবে যোগ দেন। আকাশে ঘুড়ি উড়ানোর চেষ্টা করেন। 

পুরো উৎসব সমন্বয় করেন আয়োজনের সারথি জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।  

সোমবার (৭ মার্চ) বিকেলে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিয়াউর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা রহমানসহ, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মল্লিকা দে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তানিয়া সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মেহেদি হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুল হক, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (পর্যটন) নুসরাত লায়লা নীড়া প্রমুখ।     

জেলা প্রশাসক বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ভিন্ন ধরনের কিছু করার তাগিদ থেকে এ ঘুড়ি উৎসব। একদিনের জন্য হলেও শিশু কিশোর সহ সবাই একটা রঙিন উৎসবের সাথে যুক্ত হতে পেরেছেন। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো। আগামিতে এ ধরনের উৎসব আরও করা হবে।

 


আরো সংবাদ পড়ুন...

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Developed By Radwan Ahmed