কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।। কাল বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা। তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মণ্ডপ, পাড়া-মহল্লা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জার কাজ চলছে ।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম এ পূজা। মৌলভীবাজারে প্রতিমা তৈরিতে চলছে এখন ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিমা শিল্পীর কল্পনায় দেবী সরস্বতী অনিন্দ্য সুন্দর রুপ দিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। বিদ্যার দেবী রূপে অধিষ্ঠিত সরস্বতী দেবীর পূজা হয়ে থাকে প্রতিটি সনাতন ধর্মালম্বীদের ঘরে। আর সে উপলক্ষে প্রতিটি ঘরেই চলছে প্রস্তুতি পর্ব। যা প্রায় শেষ পর্যায়ে। মাটির কাজ শেষে চলছে রংতুলি ছোঁয়া।
উৎসব পূর্ণতা পায় যাদের হাতের পরশে সেই মৃৎশিল্পীদের কাটছে ব্যস্ত সময়। দেবী প্রতিমা গড়তে গিয়ে যেনো দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গড়তে হবে দেবীর প্রতিমা।
খড়, বাঁশ, সুতলি, কাদামাটি দিয়ে শৈল্পিক শ্রদ্ধায় দেবীর প্রতিমা গড়তে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌলভীবাজারের মৃৎশিল্পীরা।
কাদামাটি দিয়ে প্রতিমা গড়ার প্রাথমিক কাজ এখন শেষের দিকে। এখন রংতুলির আঁচড়ে প্রতিমা পাবে দৃষ্টিনন্দন রূপ।
জেলা শহরের কেন্দ্রীয় কালীবাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শিল্পীরা মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি করছেন সরস্বতী দেবীর প্রতিমা। এখানের প্রতিমা শিল্পী শিবু পাল বলেন, ‘সময় আর বেশি নাই, মাটির কাজ শেষ করে এখন শুধু রং ও সাজসজ্জার বাকী আছে।’
জানা গেছে, এবার প্রতিটি ছোট সরস্বতী প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ২শ’ থেকে ৪শ’ টাকা, মাঝারি প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ১ থেকে ২ হাজার টাকা এবং বড় প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
এদিকে কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিটি মণ্ডপে আগত দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা, নারী-পুরুষের জন্য পৃথক যাতায়াত ব্যবস্থা রাখা এবং সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ অন্যান্য নির্দেশনা মেনে এবারের সরস্বতী পূজার আয়োজনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানান, সদর পূজা উদযাপন কমিটির সম্পাদক সুমেশ দাস যীশু।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যা দেবী সরস্বতী পূজাকে ঘিরে এখন জেলার বিভিন্ন মণ্ডপ, পাড়া-মহল্লা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জার পাশাপাশি উৎসবের আমেজ চলছে।