কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।। শ্রীমঙ্গলে ৫ জানুয়ারীর ইউপি নির্বাচনে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগে চা শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভে চা জনগোষ্ঠীর কয়েক’শ নারী পুরুষ অংশ নেন। তারা বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, কিন্তু ভোট গণনায় কারচুপি করে পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী দেখানো হয়েছে।
রোববার (৯ জানুয়ারী) দুপুরের উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত শিশেলবাড়ি চা বাগান স্কুল মাঠে পরাজিত ৩ ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী ও তাদের কয়েক শ’ কর্মী সমর্থক চা শ্রমিকরা বিক্ষোভে যোগ দেয়।
বিক্ষোভকালে তালা প্রতিকের প্রার্থী বিকাশ চন্দ্র বুনার্জি, বৈদ্যুতিক পাখা প্রতিকের প্রমোদ গোয়ালা, টিউবওয়েল প্রতিকের প্রার্থী শামিম আহমেদ, বাকলিস বুনার্জি, কৃষ্ণা দাস, শিতাশ্রী শীল বক্তব্য রাখেন।
এসময় তারা বলেন, সকাল-বিকাল কেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও ৪ টার পর ভোট গণনার সময় প্রিজাইডিং অফিসার ও আইনশৃংখলা বাহিনীর লোকজন শৃংখলার কথা বলে পুটিয়া ছড়া কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে এজেন্টদের কিছু না জানিয়ে এসময় কেন্দ্রের দেয়ালে ফুটবল প্রতিকে শিপন বিশ^াসকে বিজয়ী ঘোষনা করে ফলাফল টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়। তারা ফলাফল সীটে কোন এজেন্টের স্বাক্ষর না নিয়ে ব্যালট বাক্স গাড়িতে তুলে শ্রীমঙ্গলে নিয়ে যায়। তারা অভিযোগ করেন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তার যোগসাজসে ভোট কারচুপি করে প্রতিদ্ধন্দ্বী
প্রার্থীকে বিজয়ী করেছে। বিপুল সংখ্যাক ভোট বাতিল দেখানো হয়। এসময় তারা এই ওয়ার্ডের পুন:ভোট গণনার দাবী জানান।
শ্রীতাশি শীল নামে এক চা শ্রমিক প্রশ্ন করেন, আমরা ভোট দিলাম- তা কোথায় গেল? সারাদিন তো শান্তিপূর্ণ ভোট হল, ভোট গণনার সময় এজেন্টদের বের করে দেয়া হলো কেন?
শান্তি গোয়ালা নামে আরেক চা শ্রমিক বলেন, আমরা গরীর চা শ্রমিক। আমাদের তো বিচার শালিস করার ক্ষমতা নাই। আমরা চাই সরকার আমাদের ভোট আমাদের ঠিকঠাক বুঝে দিক।
এসময় নির্বাচন বাতিল চেয়ে কয়েক শ’ শ্রমিকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত প্রার্থীরা ফল মেনে নিতে পারেন না- তারাই পুন:ভোট গণনার দাবী করে থাকেন। তিনি বলেন, ট্রাইবুন্যালের দারস্থ হওয়া ছাড়া ভোট পুন:গণনার কোন সুযোগ নেই।