কমলকন্ঠ ডেস্ক ।। রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা প্রাপ্তি ও জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে একটি পরিবার।
৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার বেলা ৩টায় মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, আমি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের প্রতাপী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য আঙ্গুরা বেগম। আমার ভাসুর ডা. ছমরু মিয়া একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখনো ভাতা পেয়ে থাকেন।
আঙ্গুরা বেগম জানান, গত বছরের ৩১ অক্টোবর চৈত্রঘাট এলাকায় লকুছ মিয়ার ছেলে নাজমুল হাসান দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়ে সিলেটের একটি হাসপাতালে মারা যান। এঘটনার পর নাজমুলের বড় ভাই শামসুল হক বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আমার ছেলে তোফায়েল আহমদসহ পরিবারের চারজনকে আসামী করা হয়। এরপর সাত নভেম্বর র্যাবের ক্রসফায়ারে তোফায়েল নিহত হন।
এরপর থেকে মৃত নাজমুলের আত্মীয়-স্বজন আমার চৈত্রঘাট বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করে। শুধু লুটপাট নয় আমাদের বাড়িঘরেও হামলায় চালানো হচ্ছে। বাড়িতে কোন পুরুষ সদস্য না থাকায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগে বাড়িঘর ছেড়ে অজ্ঞাতস্থানে বসবাস করছি।
এ ব্যাপারে আমার মেয়ে নার্গিস বেগম বাদী হয়ে কমলগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। এছাড়া আমি আঙ্গুরা বেগম বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়েল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যা কমলগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত করছে।