Logo

কমলগঞ্জে পুষ্টি সমৃদ্ধ ব্রোকলি চাষ

রিপোটার : / ১৭১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২

image_pdfimage_print

কমলকন্ঠ ডেস্ক ।।মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের সতিঝির গ্রামে পরীক্ষামূলক দুইশ ব্রোকলির চারা রোপণ করে ভালো ফলন পেয়েছেন অলি আহমেদ ও আলিফা দম্পতি।

এই কৃষক দম্পতির কাছ থেকে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও সূচনা প্রকল্পের যৌথ সমন্বয়ে তিন শতাংশ জায়গায় পরীক্ষামূলক দুইশ টি ব্রোকলি এবং জমির অবশিষ্ট অংশে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করেন। 

এ বিষয়ে সূচনা প্রকল্পের মডেল ফার্মার আলিফা বেগম ও স্বামী অলি আহমেদ জানান, সূচনা প্রকল্প ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণসহ ব্রোকলির চারা পেয়েছেন। চারা রোপণের পর আশানুরূপ সাফল্য পেয়েছেন। নতুন সবজি হওয়ায় অনেকেই আগ্রহী হয়ে ক্রয় করেন। 

তারা আরও জানান, পিস প্রতি ব্রোকলি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজার ভালো থাকলে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার ব্রোকলি বিক্রি করা যাবে। আগামী বছর তিনি ১০০০ ব্রোকলির চারা চাষ করবেন বলে জানান।

সূচনা প্রকল্পের কারিগরি সহায়তাকারী কামরুল ইসলাম বলেন, সূচনা প্রকল্প যেহেতু পুষ্টি উন্নয়নে কাজ করে তাই পুষ্টির কথা চিন্তা করে পুষ্টি সমৃদ্ধ শাকসবজি চাষে সূচনার সদস্য ও স্থানীয় কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করা হয়। 

তিনি আরো বলেন, একদিকে পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে অন্যদিকে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন এই চিন্তা করেই সূচনার মডেল ফার্মার আলিফা বেগমকে প্রথমবারের মতো ব্রোকলি চাষে উদ্বুদ্ধ করি। ব্রোকলির পাশাপাশি জমিতে সমন্বিত একাধিক সবজি চাষ করার পরামর্শ প্রদান করেন বলে জানান।

এ বিষয়ে শমশেরনগর ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিপন কুমার দাস জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও সূচনা প্রকল্পের যৌথ সমন্বয়ে ব্রোকলি চাষের প্রর্দশনী প্লট করা হয়েছে।  যাতে এই প্রদর্শনী প্লট দেখে সূচনার সদস্যসহ স্থানীয় কৃষকেরা ব্রোকলি চাষে উদ্ধুদ্ধ হয়। ব্রোকলি পুষ্টি সমৃদ্ধ ছাড়া ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজে করে। ব্রোকলি খাদ্য হিসাব সুস্বাদু, পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং বাজার মূল্য বেশি তাই কৃষকেরা লাভবান হবেন।

 তিনি আরো বলেন, কমলগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও সূচনা প্রকল্প যৌথভাবে শমশেরনগর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক চাষীদের বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা যেমন- জলবায়ু সহিষ্ণুবস্থা, উঁচু মাদা ও টাওয়ার পদ্ধতিতে সবজি চাষের পরামর্শ প্রদান করেন। যাতে কৃষকরা ঝুঁকিমুক্ত ও বাঁধাহীনভাবে ফসল চাষ করতে পারেন।


আরো সংবাদ পড়ুন...

আর্কাইভ

Developed By Radwan Ahmed