Logo
সংবাদ শিরোনাম :
মনোনয়ন নিয়ে ফিরে নিজ এলাকায় অভিনন্দিত হলেন উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বর্ণাঢ্য আয়োজনে নাচে-গানে সাঙ্গ হলো ঐতিহ্যবাহী মণিপুরি মহারাসলীলা মৌলভীবাজার-৪ আসনে ৭ম বারের মতো মনোনয়ন পেলেন উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ গঙ্গা স্নানের মাধ্যমে সম্পন্ন হল চা শ্রমিকদের ২৩তম কাত্যায়ানী পূজা কমলগঞ্জে রাখাল নৃত্যের মধ্য দিয়ে রাসোৎসব শুরু মণিপুরী চারণ কবি গোকুলানন্দ গীতিস্বামীর জন্মবার্ষিকী পালন কমলগঞ্জে জিপিএ-৫ পেয়েছে-১১৩ জন ।। পাসের হার- ৭১.৯৮% শ্রীমঙ্গলে গারোদের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’কে ঘিরে আনন্দ আয়োজন কমলগঞ্জে দু’দিনব্যাপী মধুচাষীদের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত আবারও টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি কমলগঞ্জে খাসিয়াদের ঐতিহ্যবাহী ‘খাসি বর্ষ বিদায় ’ উৎসব পালিত পাত্রখোলা চা বাগানের ক্লাব সড়ক থেকে ৫টি আকাশমনি গাছ চুরি মৌলভীবাজার-৪ আসনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি ! কমলগঞ্জে পরিবার কল্যাণ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে  এ্যাডভোকেসি সভা কমলগঞ্জে হরতালে বিএনপি`র বিক্ষোভ মিছিল কমলগঞ্জ মাদকসহ ১ জন আটক ইউএনও’র পরিচয় দিয়ে প্রতারক চক্রের টাকা দাবি ৭ম বারের মতো মৌলভীবাজার-৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন কিনলেন ড. শহীদ কমলগঞ্জ ইসকন নামহট্ট মন্দিরে অন্নকূট উৎসব পালন আগুনে পুড়ে ছাঁই হলো অসহায় পরিবারের বসতঘর

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পবন তাঁতী‘র স্বীকৃতি চেয়ে স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন

রিপোটার : / ১৭৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১

কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছর হলেও আজও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পবন তাতীঁ। পিতার স্বীকৃতির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পবন তাতীঁর স্বজনরা ।

সোমবার বিকেলে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবী জানান উপজেলার রাজঘাট চা বাগানের শহীদ পবন কুমার তাঁতীর ছেলে তপন কুমার তাঁতী।

এ সময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে তার পিতা শহীদ পবন কুমার তাঁতী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ডাকে সারা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ পড়ালেখা বাদ দিয়ে এলাকায় এসে স্থানীয়দের সংগঠিত করে প্রশিক্ষণের জন্য ভারত চলে যান। ভারত থেকে ফেরত এসে তিনি পাক বাহিনীর অবস্থান ও কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়মিত তথ্য সরবরাহ করতেন। তার দেয়া তথ্যে মুক্তিযোদ্ধারা পাক বাহিনীর অনেক দূর্গ ধ্বংস করে। এক সময় রাজাকারদের মাধ্যমে পাক বাহিনী তার পিতাকে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান ও অন্যান্য তথ্য আদায়ে পাক বাহিনী তার পিতাকে এক সপ্তাহ ধরে অমানুষিক নির্যাতন করে। সর্বশেষ তথ্য আদায় করতে না পেরে পাক বাহিনী শ্রীমঙ্গল ওয়াপদা অফিসে তার পিতাকে ১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর হত্যা করে বালুর স্তুপের মধ্যে পুতে রাখে।

পরে তারা তার পিতার লাশ উদ্ধার করে রাজঘাট চা বাগানে স্মৃতি স্তম্ভ করেন। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু তার মা পূরবী তাঁতীকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে এক হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর হল আমার মা তার স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির জন্য অফিসে অফিসে ধরনা দিয়ে প্রয়াত হয়েছেন, কিন্তু স্বীকৃতি আদায় করতে পারেননি।

তিনি প্রধানমন্ত্রী,মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীসহ সকলের নিকট জোর দাবী জানান তার পিতার ন্যায্য অধিকার ও মর্যদা দেয়ার জন্য। এসময় বক্তব্য রাখেন,শহীদ পবন কুমার তাঁতীর স্বপক্ষে তার সহযোগী বীরমুক্তিযোদ্ধা রাম নারায়ন পাল, বড় ভাই নিরঞ্জন কুমার তাঁতী, দৌহিত্র সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পল্লব কুমার তাঁতী, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মিনা রবি দাশ, সমাজকর্মী বিশ্বজিৎ তাঁতী,শিক্ষক ধনঞ্জয় গোয়ালা।


আরো সংবাদ পড়ুন...
Developed By Radwan Ahmed