Logo
সংবাদ শিরোনাম :
জুড়ীতে সন্ত্রাসী হামলায় উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতিসহ ৬ জন আহত ৪ শত চা শ্রমিকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কমলগঞ্জে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত কমলগঞ্জের একজন প্রধান শিক্ষক মো. খুরশেদ আলীর কথা সিলেটে তেলের খনির সন্ধান লাভ কমলগঞ্জে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে এডভোকেসী সভা কমলগঞ্জে ৪ জন জয়িতাকে সংর্বধনা প্রদান কমলগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালন কমলগঞ্জের বাজারে পেয়াজের ঝাঁজে অতিষ্ট ভোক্তারা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে আমন ধান ও শীতকালীন সবজী নষ্ট কমলগঞ্জে বাসার সামনে থাকা বাসে রহস্যজনক আগুন কমলগঞ্জে কালর্ভাটের নিচে চা শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ পরীক্ষা শেষে হাতির পিঠে চড়ে বাড়ী ফেরা ! মৌলভীবাজারের ৭ থানার ওসি রদবদল কমলগঞ্জে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে টাকা দাবির অভিযোগ ৫১তম নব বিমানসেনা দলের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত মহিলা অধিদপ্তর কর্তৃক কমলগঞ্জে কিশোর-কিশোরী ক্লাবে সদস্য ভর্তি শুরু কমলগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত-২ মৌলভীবাজার-৪ আসনে ১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল কমলগঞ্জে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উপকরণ প্রদান

মৌলভীবাজার মুক্ত দিবসে স্থানীয়দের দাবী ব্যাংকার ও গণহত্যার স্থান সংরক্ষনের

রিপোটার : / ১৯০ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১

কমলকন্ঠ ডেস্ক ।।

গতকাল ৮ ডিসেম্বর ছিল মৌলভীবাজার হানাদার মুক্ত দিবস। । ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা লড়াই করে পাক হানাদার বাহিনীকে মৌলভীবাজার থেকে বিতাড়িত করে শত্রুমুক্ত করেছিল। সেদিনের সাহসী সন্তানেরা পাকাহানাদারদের পরাজিত করে মৌলভীবাজার শহর তথা জেলার সর্বত্র উড়িয়েছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও এ জেলার একমাএ ব্যাংকার, বধ্যভূমি ও তালিকাভুক্ত গণকবরের স্থানগুলো রয়েগেছে অরক্ষিত। হানাদার মুক্ত দিবসে এ জেলার এসব স্থানগুলো সংস্কার ও সংরক্ষনের দাবী জানিয়েছেন এখানকার মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় বাসীন্দারা।
জানা গেছে তৎকালীন ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পিছু হটতে শুরু করলে প্রতিদিনই বিজয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতে থাকে এ জেলায়। ২ ডিসেম্বর রাতে শমসেরনগর বিমানবন্দর ও চাতলাপুর বিওপিতে হানাদার বাহিনীর ওপর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণে পাক সেনারা টিকতে না পেরে মৌলভীবাজার শহরে ফিরে আসে। ৪ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার শহরের নিকটবর্তী বড়টিলা নামক স্থানে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর ১২৭ সেনা শহীদ হন।

পাঞ্জাব রেজিমেন্ট ৪নং হেড কোয়াটার এর ব্রিগেডিয়ার ইফতেখার রানার নেতৃত্বে মৌলভীবাজারের পিটিআই (প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং) সেন্টারে গড়ে উঠে ব্রিগেড হেড কোয়ার্টার। এখানে নির্মীত ব্যাংকারে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধা, নিরীহ মানুষ ও মহিলাদের ধরে এনে হত্যা, নির্যাতন চালানো হয়। যা আজও কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে। ৪নং সেক্টরের অধীনে সেক্টর কমান্ডার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চৌকস মেজর সি আর দত্ত’র নেতৃতে মৌলভীবাজারে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ৭ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী শেরপুরে অবস্থান নিলে মুক্তিবাহিনীও শেরপুরের দিকে অগ্রসর হলে পাক বাহিনী সেখান থেকেও পলায়ন করে সিলেটে চলে যায়। ফলে ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার পুরোপুরি মুক্ত হয় এবং আকাশে ওড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা। এরপর থেকেই মৌলভীবাজারের সর্বস্থরের মানুষ ৮ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস পালন করে আসছে।

তবে স্থানীয় বাসীন্দাদের অভিযোগ রয়েছে স্বাধীনতার এত বছর পেরিয়ে গেলেও আজও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এ জেলার একমাএ ব্যাংকার, বধ্যভূমি, গণহত্যার স্থান তালিকা সংস্কার ও সংরক্ষনের। অযত্নে আর অবহেলায় হারিয়ে যেতে বসেছে এসব স্থানের স্মৃতিচিহু। তাই এসব স্থান সংস্কার ও সংরক্ষন করে মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজম্মকে জানানোর জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন এ জেলার মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় বাসীন্দারা।


আরো সংবাদ পড়ুন...
Developed By Radwan Ahmed