সিলেট শিক্ষা বোর্ড থেকে পাওয়া তথ্য মতে, মৌলভীবাজার জেলার সাতটি উপজেলায় ১৪ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১৩ হাজার ২৭৯ পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৬৩৭ জন ও ছাত্রী ৭ হাজার ৬৪২ জন। ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা ২ হাজার ৫ জন বেশি।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির তথ্যমতে, এবার সাধারণ ৯ টি শিক্ষা বোর্ডে শুধু এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন, যাদের ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১১৩ জন ছাত্র ও ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৪ জন ছাত্রী। ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা ১১ হাজার ৭৯১ জন বেশি।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষা দিচ্ছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬১ হাজার ৭৩৮ জন; ছাত্রী ৫১ হাজার ৪০৬ জন। ছাত্রীর চেয়ে ছাত্রের সংখ্যা ১০ হাজার ৩৩২ জন বেশি।
এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি (বিএম/ভোকেশনাল) পরীক্ষা দিচ্ছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫২৯ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪ হাজার ৮২৭ জন; ছাত্রী ৪৩ হাজার ৬৪২ জন। বোর্ডে ছাত্রীর চেয়ে ছাত্রের সংখ্যা ৬১ হাজার ১৮৫ জন বেশি।
সারাদেশের মত মৌলভীবাজার জেলায় শুরু হয়েছে ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সনদ (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পরীক্ষা। প্রথম দিনে জেলা প্রশাসক, ম্যাজিস্ট্রেট, এসপি সহ পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট অনান্য কর্মকর্তারা বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
বিগত বছরের মত ১২ টি বিষয়ের পরীক্ষা হচ্ছে না এবার। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বচনিক বিষয়ে ছয়টি পত্রের পরীক্ষা হচ্ছে। বাংলা ও ইংরেজির মতো আবশ্যিক বিষয়গুলোতে এবার পরীক্ষা নেওয়া হবে না। এই বিষয়গুলোর নম্বর আগের পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।
পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টার পরিবর্তে দেড় ঘণ্টা। অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় বেশি পাচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে যাই বলা থাকুক, শিক্ষা বোর্ডের নম্বর ও সময় বিভাজন নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এমসিকিউ ২৫ টির মধ্যে ১২ টির এবং রচনামূলক আটটি প্রশ্নের মধ্যে দুটির উত্তর লিখতে হবে।
প্রতি বছরের এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার সাত মাস পর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্যান্য বছর পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল দেওয়া হলেও এবার এক মাস পর দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।