Logo
সংবাদ শিরোনাম :
মনোনয়ন নিয়ে ফিরে নিজ এলাকায় অভিনন্দিত হলেন উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বর্ণাঢ্য আয়োজনে নাচে-গানে সাঙ্গ হলো ঐতিহ্যবাহী মণিপুরি মহারাসলীলা মৌলভীবাজার-৪ আসনে ৭ম বারের মতো মনোনয়ন পেলেন উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ গঙ্গা স্নানের মাধ্যমে সম্পন্ন হল চা শ্রমিকদের ২৩তম কাত্যায়ানী পূজা কমলগঞ্জে রাখাল নৃত্যের মধ্য দিয়ে রাসোৎসব শুরু মণিপুরী চারণ কবি গোকুলানন্দ গীতিস্বামীর জন্মবার্ষিকী পালন কমলগঞ্জে জিপিএ-৫ পেয়েছে-১১৩ জন ।। পাসের হার- ৭১.৯৮% শ্রীমঙ্গলে গারোদের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’কে ঘিরে আনন্দ আয়োজন কমলগঞ্জে দু’দিনব্যাপী মধুচাষীদের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত আবারও টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি কমলগঞ্জে খাসিয়াদের ঐতিহ্যবাহী ‘খাসি বর্ষ বিদায় ’ উৎসব পালিত পাত্রখোলা চা বাগানের ক্লাব সড়ক থেকে ৫টি আকাশমনি গাছ চুরি মৌলভীবাজার-৪ আসনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি ! কমলগঞ্জে পরিবার কল্যাণ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে  এ্যাডভোকেসি সভা কমলগঞ্জে হরতালে বিএনপি`র বিক্ষোভ মিছিল কমলগঞ্জ মাদকসহ ১ জন আটক ইউএনও’র পরিচয় দিয়ে প্রতারক চক্রের টাকা দাবি ৭ম বারের মতো মৌলভীবাজার-৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন কিনলেন ড. শহীদ কমলগঞ্জ ইসকন নামহট্ট মন্দিরে অন্নকূট উৎসব পালন আগুনে পুড়ে ছাঁই হলো অসহায় পরিবারের বসতঘর

ফসল বাচাতে মাঠেই রাত কাটাচ্ছেন কৃষকরা

রিপোটার : / ১৮৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১

ডেস্ক রিপোর্ট ।। এখন আমন ধান ঘরে তোলার মৌসুম । পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ । আর ক‘টা দিন পরেই ফসল ঘরে তুলবেন কৃষকরা । আনন্দের এই মুহুর্তকে নিরানন্দে পরিনত পরিনত করে তুলছে বন্যশুকরের আক্রমন। রাতে দলবেধে হানা দিচ্ছে এসব ফসলী জমি ও সবজী ক্ষেতে । এতে ভোগান্তি ও ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা। ফসলের মাঠে বন্য শূকরের হানায় নষ্ট হচ্ছে ধান ও সবজিক্ষেত। এতে ভোগান্তি ও ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন ওই এলাকার কৃষকরা। বন্য শূকর থেকে ফসল বাঁচাতে এখন মাঠেই রাত কাটাচ্ছেন তারা।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ভানুগাছ রিজার্ভ ফরেষ্ট সংলগ্ন লংগুরপার, দক্ষিণ বালিগাঁও, বাঘমারা, সরইবাড়ি, ভেড়াছড়া, ছাতকছড়া এলাকা ঘুরে জানা গেছে, ফসলি জমিতে লাউয়াছড়া বনের শুকরের দল প্রায় প্রতি রাতেই হানা দেয়। শীতের মধ্যে পাকা ধান রক্ষায় মাঠে বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে পাহারা দেন কৃষকরা। সঙ্গে রাখেন প্লাস্টিক ও টিনের তৈরি ড্রাম। কিছুক্ষণ পর পর চিৎকার এবং ড্রামে শব্দ করেন, যাতে শূকর চলে যায়।

কৃষকরা বলছেন, পাকা আমন ধান ও শীতকালীন সবজিক্ষেতে প্রায় প্রতি রাতেই শূকরের দল এসে ফসল নষ্ট করে। ধান, আলু, মূলাসহ বিভিন্ন ফসল উপড়ে ফেলে। সারাদিন কাজ করে আবার রাত জেগে ফসল পাহারা দিতে হয় কৃষকদের।

জাহির মিয়া নামে এক কৃষক বলেন, শূকর সব ফসল নষ্ট করে ফেলছে। এ অবস্থায় প্লাস্টিক ও টিনের ড্রামে শব্দ করে রাত জেগে ফসল পাহারা দিতে হচ্ছে। এসব শূকর মানুষকেও আক্রমণ করে। এ কারণে চার ফুট উচুতে বাঁশের মাচা তৈরি করেছি।

এভাবে মাচা তৈরি করে রাতভর পাহারা দিচ্ছেন কৃষক মুরাজ মিয়া, আবুল হোসেন, কৈইনুর ও দুলাল মিয়া। ফসল কাটার আগ পর্যন্ত চলবে তাদের পাহারা দেওয়ার কাজ। তবে বন্য শূকরের হানা ঠেকাতে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে তাদের অভিযোগ।

পরিবেশবাদী সংগঠন জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি, কমলগঞ্জ-এর সাধারণ সম্পাদক মো. আহাদ মিয়া বলেন, বন উজাড় ও বনভূমি বেদখল হওয়ার কারণে এখন বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। এর আগে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে হানা দেয়নি, মানুষের কোনো ক্ষতি করেনি।

লাউয়াছড়ার বেদখল বনভূমি উদ্ধার করে বন্যপ্রাণীদের জন্য বনজ গাছ লাগানোর দাবি জানান তিনি।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বন্যপ্রাণীর নির্দিষ্ট কোনো এলাকা নেই। বন্যপ্রাণীরা খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। বিশেষ করে বন্য শূকর ধান খেতে পছন্দ করে, মূলত পাকা ধান খাওয়ার জন্য ফসলের মাঠে হানা দিচ্ছে শূকরের দল।

তিনি আরও বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য শূকরের বংশবিস্তার আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। শূকরের দলের বনের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে বিচরণ করা স্বাভাবিক বিষয় হলেও ফসল নষ্ট হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক।


আরো সংবাদ পড়ুন...
Developed By Radwan Ahmed