কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।।
টানা কয়েক দিন থেকে শৈত প্রবাহ অভ্যাহত থাকায় জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। মৌলভীবাজার পূরো জেলা জুড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। রোববার ২০ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা ৭.৩ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। কন কনে শীত ও মৃদু শৈত প্রবাহে কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পরেছেন। সূর্য উদয় থেকে সূর্য অস্ত পর্যন্ত পূরো জেলার আকাশ ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন রয়েছে। সূর্যের দেখা না মিলা ও মৃদু বাতাসে প্রচন্ড শীত অনুভুত হচ্ছে।
গত শনিবার ১৯ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, এটিই চলতি শীত মৌসুমের শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে মৌলভীবাজারে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণেও শীত বেড়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে শীত আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি। এটিই অদ্যাবধি রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পরিসংখ্যান।
গরম কাপড়ের অভাবে নিম্নআয়ের মানুষেরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দিনে ও রাতে খড়খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন অনেকেই। সাধারণ মানুষ গরম কাপড়ের দোকানে ভীর করছেন। হাসপাতাল গুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ঠ ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যা বাড়ছে।