কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা সেলুন সমিতির আয়োজনে ১৭ তমবর্ষ শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কুলাউড়ার দক্ষিণ বাজারের শ্রী শ্রী কালীবাড়িতে সকাল ৮টায় পূজা শুরু হয়ে অঞ্জলি প্রান করা হয় ১২ টায়। দুপুর ২টায় ভক্তবৃন্দের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। বিশ্বকর্মা পূজা হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব।
দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আশিষ কামনায় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বেদে বিশ্বকর্মাকে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তারূপে বর্ণনা করা হয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস মতে তিনি বিশ্বের তাবৎ কর্মের সম্পাদক। তিনি শিল্পসমূহের প্রকাশক, অলঙ্কার শিল্পের স্রষ্টা, দেবতাদের গমনাগমনের জন্য বিমান নির্মাতা ইত্যাদি। অর্থাৎ শিল্পবিদ্যায় তাঁর একচ্ছত্র অধিকার। তাই যাঁরা শিল্পকর্মে পারদর্শিতা লাভ করতে চান, তাঁরা বিশ্বকর্মার অনুগ্রহ কামনা করেন।
রামায়ণে বর্ণিত অপূর্ব শোভা ও সম্পদবিশিষ্ট লঙ্কা নগরীর নির্মাতা বিশ্বকর্মা। দেবশিল্পিরূপে তিনি দেবপুরী, দেবাস্ত্র ইত্যাদিরও নির্মাতা।
কথিত আছে যে, পুরীর প্রসিদ্ধ জগন্নাথমূর্তিও বিশ্বকর্মা নির্মাণ করেন। ভাদ্রমাসের সংক্রান্তিতে কলকারখানায় বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে বিশ্বকর্মার পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যান্য দেব-দেবীর মতোই মূর্তি গড়ে বিশ্বকর্মার পূজা করা হয়। সূতার-মিস্ত্রিদের মধ্যে এই পূজার প্রচলন সর্বাধিক। তবে বাংলাদেশে স্বর্ণকার, কর্মকার এবং কারুশিল্প, স্থাপত্যশিল্প, মৃৎশিল্প প্রভৃতি শিল্পকর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিগণও নিজ নিজ কর্মে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্মার পূজা করে থাকেন। শ্রীশ্রী কালীবাড়িতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকর্মা পূজায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কুলাউড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গৌরা দে,কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদ্দরুজাম্মান সজল সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম শামীম, সেলুন সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অশোক চন্দ, ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি কান্ত দেব, সম্পাদক সুদীপ্ত চৌধুরী সত্যম,পল্লী চিকিৎসক বিষ্ণু পদ ও, কুলাউড়া পৌরসভা সেলুন সমিতির সভাপতি ক্ষিতিশ চন্দ,সাধারণ সম্পাদক রতন চন্দ প্রমুখ।
পূজা পরিচালনা কমিটির পক্ষে সভাপতি অনাদি চন্দ এবং সাধারণ সম্পাদক লিটন বৈদ্য লিটু বিশ্বকর্মা পূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করায় সকলকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।