Logo

শ্রীমঙ্গলে নির্বিচারে চলছে পাহাড় কাটা, ঝুঁকিতে বস্তিবাসী

রিপোটার : / ৬৮৩ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০

কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় নির্বিচারে চলছে পাহাড় কাটা। এলাকার প্রভাবশালীরা সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে পাহাড় কেটে নির্মাণ করছে বসতবাড়ি ও বাণিজ্যিক স্থাপনা। ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীরা রয়েছে পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে। উপজেলার পাহাড়ি জনপদ রাধানগর, মোহাজিরাবাদ ও বিষামনি এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবার ঝুঁকিপূর্নভাবে বসবাস করছেন।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, রাধানাগর মৌজার বেগুনবাড়ি এলাকায় আবু তাহের মাটি কাটার শ্রমিক দিয়ে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটছেন। শ্রমিকরা কোদাল দিয়ে পাহাড়রের মাটি কেটে নিচে কৃষি জমি তৈরি করছে। আবু তাহের নিজেকে বিটিআরআই গেষ্ট হাউজের বাবুর্চি পরিচয় দিয়ে বলেন,আনারস বাগান সৃজনের জন্য পাহাড়ের মাটি কাটতে হচ্ছে।
একইভাবে প্রশাসনের চোখের সামনে স্থানীয় প্রভাবশলীরা রাধানগর মোহাজিরা বাদ ও বিষামণি এলাকায় পাহাড় কেটে গড়ে তুলেছেন বসত বাড়ি, হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট। এর পাশাপাশি চলছে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির কাজও। এভাবে পরিবেশ বিনষ্ট হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগ করেন পরিবেশবাদীরা।
নির্বিচারে পাহাড় কাটার ফলে অনেক জায়গায় পাহাড়ে ফাটলও দেখা দিয়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ন বসতির উপরের অংশে চলছে পাহাড় কাটা। এতে যে কোনো সময় পাহাড় ধসে বড় ধরনেরদূর্ঘটনা ও প্রাণহানির আশংকা করছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রে অভিযোগ, কিছুদিন পর পর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হলেও পরে আবার শুরু হয় পাহাড় কাটা।
সিলেট বিভাগের পরিবেশবাদী সংগঠন পাহাড় রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশ এখন বিপর্যস্ত। সরকার পাহাড় কাটার জন্য শাস্তির বিধান রেখেছে। কিন্তু সেই আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ না হওয়ায় পাহাড় খেকোরা ইচ্ছে মতো পাহাড় কেটে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কাটা আইনত ন্ডনীয় অপরাধ। আমরা এর আগে পাহাড় কাটাার ায়ে শ্রীমঙ্গলের অনেকজনকে জরিমানা করেছি। খবর পেলেই আমরা অভিযান চালিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ অভিযোগটি তদন্ত করে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।


আরো সংবাদ পড়ুন...
Developed By Radwan Ahmed