কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ব্যক্তি মালিকানাধীন ধলই চা বাগান দীর্ঘ ২২ দিন পর বুধবার চালু হওয়ার নোটিশ টাঙানোর একদিন পর বৃহস্পতিবার ফের বাগানটি বন্ধ ঘোষনা করেছে বাগান কর্তৃপক্ষ। এতে চা শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। গত বুধবার বাগান খোলার কথা থাকলেও সকাল থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বাগানের ব্যবস্থাপক পরিবর্তন না হওয়া ও বাগান চালুর নোটিশে শ্রমিকদের দায়ী করায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন শ্রমিকরা। বুধবার সকাল ১০ টায় কোম্পানীর এজিএম বাগানে প্রবেশ করতে চাইলে শ্রমিকরা আপত্তি জানান। এসময় দুই নারী শ্রমিককে টানা হেচড়া করে লাঞ্চিত করায় গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে টানা চার ঘন্টা এজিএম খালেদ খানকে অবরুদ্ধ করেন শ্রমিকরা। পরে প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে ব্যবস্থাপক ও এজিএমকে পুলিশি সহায়তায় চা বাগান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
এদিকে টানা ২১ দিন চা বাগান বন্ধ থাকার পর সোমবার (১৭ আগস্ট) বিকালে ৪টায় মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ও পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ এর উপস্থিতিতে বেঠকের সিদ্ধান্তে ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় পূর্বের দেয়া নোটিশ প্রত্যাহার করে বুধবার থেকে ধলই চা বাগান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের পর এদিন রাতেই দলই চা বাগান কোম্পানী বিতর্কিত ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম ধলই চা বাগানে অনুপ্রবেশ করেন
এ ব্যাপারে ধলই চা বাগান ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম জানান, চা শ্রমিকরা বহিরাগতদের নিয়ে উচ্ছৃংখল আচরণ ও অস্থিতিশীল করে তুললে বৃহষ্পতিবার ফের দলই চা বাগান বন্ধ ঘোষনা করেন কর্তৃপক্ষ। তিনি আরো বলেন, একটি চক্র চা বাগানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে। এটি মোটেও কাম্য নয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, ধলই চা বাগান বৃহস্পতিবার ফের বন্ধ ঘোষনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে বাগানের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।