Logo
সংবাদ শিরোনাম :
ভানুবিলের কৃতিপুরুষ জননেতা হিজম ইরাবতের ১২৭ তম জন্মবার্ষিকী পালিত কমলগঞ্জে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত কমলগঞ্জে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত  অনৈতিক সম্পর্কের ছবি দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে কমলগঞ্জে যুবক আটক  কমলগঞ্জে বিভাগীয় কমিশনারের মতবিনিময় সভা কমলগঞ্জে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে মতবিনিময় সভা ফতেপুর ইউনিয়নের সার্ভার হ্যাক করে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন  মৌলভীবাজারের কৃতি সন্তান পরমানু বিজ্ঞানী ড. খলিলুর রহমান আর নেই সৈয়দ শামসুল ইসলাম বাবুর জানাজা সম্পন্ন, বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ কমলগঞ্জ পৌরসভায় ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্পের ৪৮টি পাইপ গায়েব !

মাল্টা চাষ করে সফলতা অর্জন করেছে রাজনগরের আল আমিন

রিপোটার : / ৬২৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০

কমলকন্ঠ রিপোর্ট।। মৌলভীবাজারের রাজনগরে মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষক আল আমিন (৪৪)। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের নন্দীউড়া গ্রামের সুনাহর আলীর ছেলে। কৃষি কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। এক সময় বাড়ির পাশে ৬০ শতাংশ জমিতে আউশ ও আমন ধান চাষ করতেন। বিগত ২০১৭ সালের মে মাসে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও উৎসাহে ওই ধানি জমিতে মাল্টার চাষ শুরু করেন। এরপর শুরু গাছের যত্ন নেয়ার কাজ। নিজের তত্বাবধানে কিছু শ্রমিক দিয়ে পরিচর্যা চলতে থাকে। বছর তিনেক যত্ন-আত্বির পর তার মাল্টা গাছে ফল ধরার খবর পেয়ে স্থানীয়রা বিষমুক্ত মাল্টা কিনতে ভীড় করছেন তার বাড়িতে। ২০০ টি মাল্টা গাছের প্রতিটিতে গড়ে ১২০ টি মাল্টা ধরেছে বলে তিনি জানান।

আল আমিন জানান, ধানের চেয়ে মাল্টা লাভজনক হওয়ায় উপজেলা কৃষি অফিস থেকে চারা ও সার পাওয়ার আশ্বাসে ওই জমি মাল্টা চাষের জন্য প্রস্তুত করেন তিনি। বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে ওই জমিতে বারি মাল্টা-১ জাতের চারা লাগিয়ে পরিচর্যা শুরু করেন। গত বছর ফুল আসলেও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের পরামর্শে এসব ফুল ভেঙে দেন। ফলে গাছ গুলো আরো মজবুত ও ফলনের জন্য সামর্থ্যবান হয়। চলতি বছর সবগুলো গাছে ফল আসায় এবং ফলন ভালো হওয়ায় বিক্রি নিয়ে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তার বাগান দেখে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোষ্ট করার পর স্থানীয় মানুষজন মাল্টা কিনতে তার বাড়িতে ভীড় করতে থাকেন। এছাড়া স্থানীয় ফল ব্যবসায়ীরাও তার কাছ থেকে মাল্টা কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ফলে মাল্টা বিক্রি নিয়ে তার চিন্তা অনেকটা দূরিভুত হয়। ১৫০-১৮০ টাকা কেজি দরে এ পর্যন্ত এক মণের বেশি মাল্টা তিনি বিক্রি করেছেন। চলতি বছর এই বাগান থেকে ১ টন মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী। তার এই সাফল্য দেখে স্থানীয় কৃষক ও বেকার যুবকরা মাল্টা চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অনেকে চাষ পদ্ধতি ও পরামর্শ নিতে তার সাথে যোগাযোগ করছেন। এসব মাল্টা গাছ থেকে কলুম করে উৎপাদিত চারা বিক্রি করেও তিনি আরো আর্থিক সুবিধা পাবেন বলে মনে করছেন।


আরো সংবাদ পড়ুন...
Developed By Radwan Ahmed