কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।।
আকষ্মিকভাবে বন্ধ রাখা মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ব্যক্তি মালিকানাধীন লই চা বাগান অবিলম্বে খুলে য়োর দাবিতে শমশেরনগর চা বাগানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে চা শ্রমিকরা। বুধবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় শমশেরনগর চা বাগান কারখানার সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
শমশেরনগর চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য লছমন মাদ্রাজীর সঞ্চালনায় ও পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি নিপেন্দ্র বাউরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালীর কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা, চা মজুর পত্রিকার সম্পাদক সীতারাম বীন, জাগরণ যুব ফোরামের সভাপতি মোহন রবিদাস, চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত কানু গোপাল, নারী নেত্রী মনি গোয়ালা, আশা আরনালসহ শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা।
বক্তারা বলেন, গত ২৭ জুলাই থেকে বে-আইনীভাবে লই চা বাগান বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এই চা বাগানের ব্যবস্থাপক নানা কারণে বিতর্কিত। চা বাগানের ছায়াানকারী গাছ কেটে বিক্রিসহ না অনিয়মের সাথে তিনি জড়িত। গত ২৩ জুন তিনি সে চা বাগানের এক শ্রমিক সন্তানকে বেধড়কভাবে পিটিয়ে আহত করে উল্টো তাকে চা বাগান থেকে বিতাড়িত করতে চান। এর প্রতিবাদে লই চা বাগানে এক দিনের কর্মবিরতি পালন হয়। এরপর ইউনিয়ন পর্যায়ে দু’দফা সমঝোতা বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবে লই চা বাগানে কাজ চললে কোম্পানী মিথ্যে অজুহাত দেখিয়ে আইন পরিপন্থী আকস্মিকভাবে ঈদের ৫ দিন আগে নোটিশ টাঙ্গিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য লই চা বাগান বন্ধ ঘোষনা করে। এরপর ২৯ জুলাই ও গত ৪ আগষ্ট কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে উপজেলা পরিষদে দুু’দফা বৈঠকেও লই চা বাগান খোলার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। তাই এখন থেকে চা শিল্পাঞ্চলে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে বুধবার সকালে শমশেরনগর চা বাগানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
বক্তারা আরও বলেন, ইতোমধ্যেই কমলগঞ্জের বিভিন্ন চা বাগানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এখন পর্যায়ক্রমে মৌলভীবাজার জেলাসহ অন্যান্য অঞ্চলের চা বাগানে মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।