কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় লোকজন। বুধবার (৫ আগষ্ট) পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বিহালা এবং মৈন্তাম গ্রামবাসীর ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী শান্তিপূর্ণ এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
এলাকার মুরব্বী আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে এবং ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান জনি ও আতিকুল ইসলাম আতিকের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে একাত্মতা পোষন করে বক্তব্য দেন কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল। কুলাউড়া শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেছার আহমদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক হাজী কুটি মিয়া, ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলার ইউনুছ আলী, শিক্ষাবিদ আব্দুল মনাফ, নুরু মিয়া, প্রবাসী সাইদুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তাদির হোসেন, আব্দুল বাছিত, আছকর আলী, দলিল লিখক অনিবার মল্লিক প্রমুখ।
ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ্ ২৫-৩০ বছর থেকে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটসহ নানামুখি উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত এই এলাকাগুলো। জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচন আসলেই নব্য জনসেবকরা সাধারণ মানুষকে নানা ধরনের উন্নয়নবাণী শুনান। কিন্তু নির্বাচন গেলেই আর তাঁদের দেখা মেলেনা। বর্তমানে এ-গ্রেডের এই পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড এ উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি এখানে। ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি স্থানে বাঁশ ও গাছের খুঁটিতে সঞ্চালিত হয়েছে বিদ্যুতের লাইন। সামান্য ঝড়-বাতাসে সেইসব নড়বড়ে খুঁটিগুলো উপড়ে পড়ে গিয়ে মাটিতে পড়ে থাকে লাইনগুলো। পিডিবি কর্তৃপক্ষকে বার বার বলার পরেও তারা এ জরাজীর্ণ লাইন মেরামতে কোন উদ্যোগ নেয়নি। তাই মানুষের ভোগান্তির কোন শেষ নেই।
ভল্টেজ একেবারে কম থাকায় ফ্যান, টিভি, ফ্রিজ, পানির পাম্প কিছুই চলেনা। সন্ধ্যা হলেই নিভু নিভু আলো জ্বলে।
দ্রুত বাঁশ ও গাছের খুঁটি অপসারণ করে এবং জরাজীর্ণ লাইন সংস্কারের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জোর দাবী জানান স্থানীয় ভুক্তভোগীরা । অন্যথায় তারা আগামীতে আরও বড়ধরনের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন বলেও জানিয়েছেন।
এব্যাপারে কুলাউড়া বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের (বিউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শামছ্-ই আরেফিন জানান, দেড় থেকে দুই বছর আগে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও শেষ হয়নি, যা অত্যান্ত দু:খজনক। আমার সুযোগ থাকলে আমিও এলাকাবাসীর সাথে মানববন্ধনের দাঁড়াতাম। এখানে আমারে লোকাল অফিসের কোন গাফলতি নেই। প্রকল্পস্তরের কিছুটা দায়িত্বহীনতায় কাজটি এত বিলম্বিত হচ্ছে, যেটি আমি মনে করছি। তাছাড়া ঠিকাদারদের একটা দৌরাত্ম্য আছে, তারা ঢাকা থেকে কাজ নিয়ে এসে এখানে যেনতেন অবস্থা করে। কাউকে পাত্তাই দেয় না। এরপরও আমার পক্ষ থেকে প্রকল্প দপ্তরে যোগাযোগ করে এলাকার ভোগান্তির কথা তুলে ধরবো।