কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের একমাত্র সরকারী চিকিৎসাকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স । ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটি শুধু নামেই । নানাবিধ সমস্যা ও সংকটের কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা প্রতিনিয়ত পোহাচ্ছেন দূর্ভোগ। জনবল সংকট ও প্রয়ােজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে মেডিসিন, সার্জারি, শিশু, গাইনি, কার্ডিওলজি, চক্ষু, চর্ম, নাক- কান-গলা, অর্থোপেডিক্স ও মেডিক্যাল অফিসারের পদ রয়েছে ২০টি। তবে তিনটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির চিকিৎসা কার্যক্রমে টিএইচওসহ ১২ জন মেডিক্যাল অফিসার রয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের কোনাে পদেই চিকিৎসক নেই। ২০ জন নার্সের মধ্যে আছেন ১৩ জন। পরিসংখ্যানবিদের পদটিও রয়েছে শূন্য। এক্সরে, ইসিজি, আলট্রাসনােগ্রাম মেশিন থাকলেও এসবের কোনাে টেকনিশিয়ান নেই। পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য অন্য জায়গায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন রােগীরা। দুটি অপারেশন থিয়েটার থাকলেও নেই প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতি। ফলে গর্ভবতী মায়ের অস্ত্রোপচারে ২০ কিলোমিটার দূরে মৌলভীবাজার যেতে হচ্ছে। সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় রোগীদের যথাযথ সেবা দেওয়া যাচ্ছে না বলে ডাক্তার ও নার্সরা জানান। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মােহাম্মদ মাহবুবুল আলম ভূইয়া বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ শূন্য পদ পূরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। এক্সরে, ইসিজি, আলট্রাসনােগ্রাম মেশিন আছে। তবে টেকনিশিয়ান না থাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরাে বলেন, যেসব চিকিৎসক আছেন তাদের মাধ্যমে হাসপাতালে চিকিৎসার মান ভালাে এবং করোনাকালীন অন্য সময়ের তুলনায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।