Logo

কমলগঞ্জের দৃষ্টিনন্দন ফিকল ঝরনার কথা

রিপোটার : / ৫৭৩ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০

image_pdfimage_print

কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।।

কমলগঞ্জ উপজেলা পর্যটনের অপার লীলা ভুমি। সেই লীলা ভুমিতে নতুন আরেকটি স্পটের সন্ধান পাওয়া গেছে তার নাম ‘ফিকল ঝরনা’। সম্প্রতি ঘুরতে গিয়ে নতুন এ ঝরনার দেখতে পান স্থানীয় এক সাংবাদিক। তিনি তার ফেইসবুক পোষ্ট করলে ঝরনা নাম ভাইরাল হয়।
নান্দনিক এ ঝরনাটি অবস্থান কমলগঞ্জ উপজেলার সংরক্ষিত বন রাজকান্দিতে। সমতল থেকে প্রায় ১০০ ফুট উপরে পাহাড়ের চূড়ায় বিশাল এলাকাজুড়ে অবস্থিত এ জলাশয়।

এতদিন লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল ঝরনাটি। তবে শুধু দৃষ্টিনন্দন ঝরনা নয়, পথের দু’পাশের বুনো গাছের সাজসজ্জা দৃষ্টি কেড়ে নেবে অনায়াসে। গহীন বনের উঁচু উঁচু পাহাড় আর সবুজ অরণ্যের মনোরম দৃশ্য দেখে মন জুড়িয়ে যাবে। ফিকল জলধারায় যাওয়ার ঝিরি পথে দেখতে পাবেন বিশাল আকৃতির অসংখ্য পাথর। প্রতিটি পাথরের আকৃতি রহস্যময়। পাথর মূলত গোলাকার কিংবা ডিম আকারের হলেও এ জলধারার পাথরে ভিন্নতার ছাপ রয়েছে। পাথরের দিকে চোঁখ রাখলে ভিন্ন এক দৃশ্য ভেসে উঠবে। মনে হবে বন্য কোন প্রাণী পাহাড়ি ছড়ার বুকে ঘুমিয়ে আছে।

আঁকাবাঁকা পাহাড়ি ছড়া দিয়ে হেঁটে চলার পথে সামনে যত দূর চোখ যাবে, শুধুই দেখবেন দুর্ভেদ্য সবুজ জঙ্গল আর রহস্যাবৃত অসংখ্য পাথর। পাহাড়ের চূড়া থেকে নামা পানি পুরো পথকেই বিপজ্জনকভাবে পিচ্ছিল করে রেখেছে। দুর্গম আর চরম ঝুঁকির পথ শেষে এ যেন অন্য এক রোমাঞ্চকর পৃথিবী। যারা ট্রেকিং ভালোবাসেন, তাদের স্বাগত জানাবে নতুন এ ঝরনা।
ঝরনাটি আবিষ্কার করেন সাংবাদিক সাজিদুর রহমান সাজু। তিনি বলেন, ‘জলধারাটি যতটা না অবিশ্বাস্য, যতটা না অলৌকিক, তার চাইতেও বেশি এর সৌন্দর্য। আপন খেয়ালে এখানে পাহাড়ের উপর জলরাশি সঞ্চার করে তৈরি করেছে হ্রদ। সমতল থেকে প্রায় ১০০ ফুট উপরে পাহাড়ের চূড়ায় বিশাল এলাকাজুড়ে অবস্থিত এ জলাশয়।

এই দৃষ্টিন্দন ঝরনা দেখতে হলে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকেআপনাকে প্রথমে আসতে হবে কমলগঞ্জ উপজেলা সদরে। তারপর সেখান থেকে বাস অথবা সিএনজি যোগে কুরমা চা বাগান। সেখান থেকে ভাড়ায় চালিত সিএনজি যোগে আঁকাবাঁকা কাদা মাটির উঁচুনিচু পাহাড়ি এলাকার কুরমা চা বাগানের ভেতর দিয়ে যেতে হবে কুরমা খাসিয়া পল্লী। খাসিয়া পল্লীর পাশেই ঝিরি পথের শুরু। সেখান থেকে পাহাড়ি ঝিরির পাশ দিয়ে বনের সরু পথে উঁচুনিচু পাহাড়ি টিলা অতিক্রম করে, কখনো পাহাড়ি ঝিরি পথ দিয়ে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছা সম্ভব দৃষ্টিনন্দন এ জলধারায়।


আরো সংবাদ পড়ুন...

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Developed By Radwan Ahmed