কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ইসলামপুর ইউপির কুরমা চা বাগানে মোবাইল চুরির অভিযোগে মুন্না পাশি ও জগৎ নুনিয়া নামে দুই শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। পরে তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। নির্যাতনের শিকার শিশুদের মারাত্মক আহত অবস্থায় কমলগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও নির্যাতিতদের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার সকাল ৭টায় মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে চা বাগান হাসপাতালের কম্পাউন্ডার মামুন ছেলেদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশিসহ কয়েকজন মিলে বাগান ঘরে নিয়ে গিয়ে বেঁধে বেধড়ক প্রহার করে। পরে তাদের দুইজনকে কুরমা চা বাগান ফ্যাক্টরির সামনে গাছের সঙ্গে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা আকাশের নিচে পেছনে হাত নিয়ে বেঁধে রাখে।
মুন্নার মা জানান, ইউপি সদস্য দীপেন সাহা সামনে থেকে তাদের পিটিয়েছেন। সঙ্গে ছিল চা বাগান পঞ্চায়েতের সভাপতি নারদ পাশি, সাদেকসহ অনেকে। বিকেল ৩টায় মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। তাদের অবস্থার অবনতি হলে বিকেল ৪টায় মুন্না ও জগৎকে কমলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মুন্নার মা আরো বলেন, এ ব্যাপারে মামলা করা হবে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য দীপেন সাহা বলেন, ছেলেদের বেঁধে রাখা হয়েছিল। তবে নির্যাতন করা হয়নি, কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ম্যানেজারের কথায় তিনি প্রথমে ছাড়তে পারেননি। পরে বিকেল ৩টার পর অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মোবাইল চুরির জন্য তাদের আটকানো হয়েছিল, তবে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।