কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় অপরিকল্পিত নদী খননের প্রকল্পের কারণে সরকারের গচ্ছা গেলো সাড়ে ৪ কোটি টাকা । তবে মৌলভীবাজার পাউবো‘র নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী সরকারের এই বিপুল পরিমান আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি কথা স্বীকার করতে নারাজ।
জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার বুকদিয়ে প্রবাহিত ধলাই নদীতে রয়েছে অসংথ্য বাক। গুরুত্বপূর্ণ বাঁক সমুহে বালি তলানী জমে নদীর নাব্যতা কমে গিয়েছিল। আঁকাবাঁকা ও ইউ আকৃতির ধলাই নদীতে অসংখ্য চর থাকার ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। অল্প বর্ষণেই উজানের পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদী ফুলে ফেঁপে উঠে। প্রবল স্রোতে বাঁক ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। নদীর ভাঙনে বাড়িঘর, ফসলি জমি ও গ্রাম্য রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
ফলে বিপুল সম্পদ, ফসল বন্যার পানিতে বিনষ্টসহ মানুষের বাড়ী-ঘর নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হয়েছে। উপজেলাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার খাল, জলাশয় ও নদী পুনর্খনন প্রকল্পের (১ম পর্যায়ের) আওতায় মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা সমস্যা থেকে উত্তরণে ও ধলাই নদীর স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে বড় বড় ২২টি স্থান চিহিুত করে চর অপসারণ খনন প্রকল্প হাতে নেয়।
জানা যায়, ৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩টি প্যাকেজে ঢাকার আরাধনা এন্টারপ্রাইজ চর অপসারণ করার কাজ পায়। চর কাটার কাজের নির্দেশনাপত্র হলেও নানা জটিলতায় কিছুটা বিলম্বে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আংশিক কাজ শুরু হয়ে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রæয়ারি পৌরসভার আলেপুর (উজিরপুর) এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে কাজের উদ্বোধন করেন কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সংসদীয় আসনের সাংসদ, সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে ২২টি বড় চর অপসারণ কাজ করলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অপরিকল্পিত চর খননের কারণেই অপসারণকৃত চর এলাকায় পুণরায় আগের চেয়ে আরো বড় আকারে চর জেগে উঠেছে। নতুন করে হুমকির সম্মুখীন হয়েছে নদীর পাড়ে বসবাসকারী ও স্থানীয় কৃষকরা। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চত্রæবর্তীর বলেন, বর্ষা মৌসুম থাকায় এবং নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে কিছু কিছু স্থানে পুনরায় চর দিয়েছে। যতটুকু কাজ সরজমিন পাওয়া যাবে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে ততটুকুই বিল দেওয়া হবে।