Logo

একজন করোনা যুদ্ধে বিজয়ী শিক্ষকের গল্প

রিপোটার : / ৫৯৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০২০

রাজনগর প্রতিবেদক ।।

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার শান্তকুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিমুল কান্তি পাল। প্রথমে সামান্য শুষ্ক কাশি থাকায় নিজেই টেস্ট করার জন্য ১৬ মে নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন। সেদিন নমুনা দেয়ার পর রেজাল্ট আসে ২১ মে তিনি করোনা পজিটিভ। রিপোর্ট পেয়ে কিছুটা মানসিকভাবি দূর্বল হয়ে পড়েন। পরে নিজের মনকে শক্ত করেন করোনার সাথে যুদ্ধ করার জন্য। সেই সাথে পরিবার ও বন্ধুমহল থেকে সাহস যোগানোর নানা পরামর্শ। পেয়েছেন প্রশাসন,স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তা। রাজনৈতিক মহলের বন্ধু শুভার্থীরাও ফোনে সাহস দিয়েছেন এ করোনা যুদ্ধাকে।

তিনি নিয়মিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঔষধ খেয়েছেন আর সাথে ঘরোয়া চিকিৎসা যেমন গরম লিকার চা, আদা, মধু লেবুসহ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারও খেয়েছেন। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় টেস্টের জন্য নমুনা দেন গত ২৮ মে। এবার নেগেটিভ রেজাল্ট আসে ১জুন। এরমধ্যে শিমুল পালে স্ত্রীও করোনা পজিটিভ হয়ে পড়েন। স্বামীর মতো তিনিও মনোবল চাঙ্গা রেখে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঔষধ খেয়েছেন আর সাথে ঘরোয়া চিকিৎসা নিতে থাকেন। শিক্ষক শিমুল পাল বলেন ৪ জুন তৃতীয় বার টেস্ট করতে দেন তিনি। মনে কিছুটা ভয় থাকলেও বন্ধুদের পরামর্শ ও নিজেকে শক্ত রাখেন। তৃতীয় দফায় ১৩ জুন করোনা রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।

তিনি বলেন, আমার শুকনো কাশি ও সর্দি ছিল তাই মনসন্দেহে পরীক্ষা করাই। তারপর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করি , এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে গরম পানি, লিকার চা, পানির ভাপ নিয়েছি। আমাকে প্রচুর সাপোর্ট দিয়েছেন শমশেরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ, কমলগঞ্জের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রফিকুর রহমান, কমলগঞ্জের পৌরসভার মেয়র মোঃ জুয়েল আহমদ, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারবৃন্দ, আমার বন্ধু বান্ধব, শিক্ষকবৃন্দ, কাতার ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট, নবধারা শমশেরনগর, সহ দেশ বিদেশের অনেক বড় এবং ছোট ভাইয়েরা। তাঁরা সবসময়ই আমাকে ও আমার পরিবারকে সাহস যোগিয়েছেন। আমি তাদের সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।
শিমুল পাল বলেন, সর্বপ্রথম মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপা ও শুভাকাঙ্খিদের সহযোগিতায় আজ আমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পেরেছি। আমার পরিবারও সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। আমার অভিমত করোনার মতো বিপদে মনোবল চাঙ্গা রেখে নিয়মিত ঔষধ ও পথ্য খেলে অনেকেই আমার মতো দ্রুত সেড়ে ওঠতে পারবেন।


আরো সংবাদ পড়ুন...
Developed By Radwan Ahmed