কমলকন্ঠ রিপোর্ট ॥ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আপার কাগাবলা ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডে পুন: নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাঁরা হলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুর রহমান, চশমা প্রতীকের প্রার্থী ফারুক আহমদ ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মতিন।
সোমবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিন প্রার্থী জানান, রাজাকার পরিবারের সন্তান সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকৃত বহিষ্কৃত আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী ইমন মোস্তফাকে পরিকল্পিতভাবে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশী যোগসাজশে নির্বাচনে অবৈধভাবে জেতানো হয়েছে। এই প্রার্থী আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছে। ইমন মোস্তফা বোরোতলা গ্রামের বিখ্যাত রাজাকার গল্লাস মোল্লার (প্রকাশিত)জামাতা।
সংবাদ সম্মেলনে তিন প্রার্থী জানান, ৪নং আপার কাগাবলা ইউনিয়নের ১নং আপার কাগাবলা কেন্দ্র, ২নং বোরোতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও ৯নং লামা কাগাবলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এই তিন কেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশের যোগসাজশে ফলাফল বিলম্বে ঘোষণা করা হয়। এসময় প্রতিবাদকারী চেয়ারম্যান প্রার্থীদেরকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা। শুধু তাই নয়, এজেন্টদের কাছ থেকে সময়ের আগে কৌশলে দস্তখত নিয়ে তারপর পুলিশ দ্বারা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ব্যালট বাক্স মৌলভীবাজার সদরে নিয়ে এসে নিজেদের মতো করে ইমন মোস্তফাকে বিজয়ী দেখিয়ে ঘোষণা করা হয়। এসময় বাকী তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুর রহমান, চশমা প্রতীকের প্রার্থী ফারুক আহমদ ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মতিনকে উপজেলা পরিষদে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
এবিষয়ে তৎক্ষণাৎ তিন প্রার্থী মৌলভীবাজার সদর আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদকে জানালো তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রার্থীদেরকে বলেন।
তিন প্রার্থী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বলেন, একজন রাজাকার পরিবারের সন্তান, যাকে আওয়ামী লীগ বহিষ্কার করেছে সেই প্রার্থীকে বিজয়ী দেখাতে কে বা কারা পেছন থেকে কাজ করেছে তা আপনারা সাংবাদিকরা এলাকায় গেলেই জানতে পারবেন। এসব রাজাকার পরিবারের সদস্যরা কিভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে তা খুঁজে বের করে সংবাদ পরিবেশন করার দাবি জানান প্রার্থীরা। এছাড়া এবিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জজকোর্টে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল এবং উচ্চ আদালতে অভিযোগ দায়ের করবেন।