কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ‘যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে সংবাদকর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ আগস্ট) বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) শ্রীমঙ্গল শাখার আয়োজনে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং অনলাইন এবং ফ্রিল্যান্সসহ ৩০ জন সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন। নাটাব শ্রীমঙ্গল শাখার কোষাধ্যক্ষ মো. কাওছার ইকবাল’র সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক এবং বিএমএ ও নাটাব শ্রীমঙ্গল শাখার সভাপতি ডা. হরিপদ রায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সভাপতি বিশ্বজোতি চৌধুরী ও দৈনিক খোলা চিঠির সম্পাদক মো. সরফরাজ আলী বাবুল।
সভায় অতিথিরা তাদের বক্তব্যে যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, শুধুমাত্র সচেতনতার মাধ্যমেই এই রোগটি নির্মূল করা সম্ভব। আর এক্ষেত্রে সংবাদকর্মীরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে যক্ষ্মা নির্মূলে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থাপন করা তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের জুন মাস থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত এ উপজেলায় ৯৪০১ জনকে পরীক্ষা করে ১৩০১ জন যক্ষ্মা রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯২০ জন। চিকিৎসাধীন আছেন ৩৮১ জন। এর মধ্য দুই জন রোগীর রোগের পর্যায় এমডিআর পর্যন্ত গড়ানোয় রোগী মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, এই করোনাকালে সাংবাদিকরা যেভাবে স্বাস্থ্য বিভাগকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন তাতে আমাদের করোনা অভিঘাত মোকাবেলায় বিরাট ভূমিকা রাখছে। লেপ্রোসি ও টিবি নিরোধেও তৃণমূলের মানুষের খবর আমাদেরকে জানালে আমরা সাথে সাথেই ব্যবস্থা নেব।
বিএমএ ও নাটাব শ্রীমঙ্গল শাখার সভাপতি ডা. হরিপদ রায় বলেন, যক্ষ্মা নির্মূলে আমাদের সবাইকে কাজ করে যেতে হবে যাতে বাংলাদেশ পোলিও নির্মূলের মতো সফলতা অর্জন করতে পারে। সমাজে এখনো লুকায়িত রোগ হিসেবে একটা ধারনা ও দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। সাংবাদিকরা ও স্বাস্থ্য কর্মীরা মানুষকে সচেতন করে তুলতে পারলে আমরা অচিরেই যক্ষ্মামুক্ত হতে পারব।