Logo
সংবাদ শিরোনাম :
মণিপুরীদের ঐতিহাসিক ‘চহি তারেৎ খুনতাকপা’ দিবস উদযাপন প্রেসক্লাব সভাপতির পুত্র শৈবালে‘র ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ কমলগঞ্জে বোরো চাষের জন্য কৃষকের উদ্যোগে ক্রসবাঁধ নির্মাণ সিপিএসটি-২০ প্রাইজমানি ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে হবিগঞ্জ চ্যাম্পিয়ন কিশোরকণ্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ২০২৩ এর ফল প্রকাশ কমলগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক রসুলপুরে নৌকার নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আম্বিয়া কিন্ডারগার্টেন স্কুলে অভিভাবক দিবস পালন। কমলগঞ্জে পূর্ব শক্রতার জের ধরে হামলা; ৩ জনকে আটক করে গণপিটুনি মৌলভীবাজারে তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি সেবার মানোন্নয়নে গণশুনানি বড়দিন উৎসবকে ঘিরে কমলগঞ্জের ৪৪টি গির্জায় চলছে প্রস্তুতি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির স্মরণে আলোচনা সভা কমলগঞ্জে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা পুলিশ এসল্ট মামলায় কমলগঞ্জে যুবদল নেতা পৌর কাউন্সিলর গ্রেপ্তার কমলগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ মৌলভীবাজারের ৪টি আসনে প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণায় প্রার্থীরা দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মৌলভীবাজারের ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন ২০ জন প্রার্থী কমলগঞ্জে যুব ফোরাম গঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় কমলগঞ্জে ৫২ তম বিজয় দিবস উদযাপন কমলগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

বৈষ্ণব পদাবলী রচয়িতা মহাকবি কালিদাসের স্মৃতিদিবস ॥

রিপোটার : / ১০৭৩ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০২০

কমলকন্ঠ সাহিত্য ডেক্স ।। বৈষ্ণব কবির ভাষায়- আজ ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবস’। ১৪২৬ বঙ্গাব্দের বর্ষার প্রথম দিনপঞ্জিকার অনুশাসনে আজ আষাঢ়ের প্রথম দিন।

প্রকৃতিতে গ্রীষ্মের রুদ্র দহন ছিন্ন করে আজ বর্ষার দিন এলো। তৃষিত হৃদয়ে, পুষ্পে-বৃক্ষে, পত্র-পল্লবে নতুন প্রাণের নতুন গানের সুর নিয়ে আজ এই বর্ষা সমাগত।

মহাকবি কালিদাস তার ‘মেঘদূত’ কাব্যে আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে বিরহ কাতর যক্ষ মেঘকে দূত করে কৈলাশে পাঠিয়েছিলেন তার প্রিয়ার কাছে।

মেঘদূত বা মেঘসন্দেশ কালিদাস রচিত একটি কাব্য। প্রাচীন টীকাকারদের মতে এটি কেলিকাব্য, ক্রীড়াকাব্য, খণ্ডকাব্য বা মহাকাব্য; আধুনিক গবেষকগণ এটিকে “বর্ষাকাব্য”, “বিরহকাব্য” বা “গীতিকাব্য” নামে অভিহিত করেন। মন্দাক্রান্তা ছন্দে রচিত এই কাব্য কালিদাসের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় এবং সম্পূর্ণ মৌলিক রচনা। আবার “শুদ্ধ বিরহকে অবলম্বন করে সংস্কৃত সাহিত্যের প্রথম ও পূর্ণাঙ্গ কাব্য মেঘদূত।”

রামগিরি পর্বতে নির্বাসিত এক অভিশপ্ত যক্ষের প্রিয়াবিরহ এই কাব্যের মূল উপজীব্য। কাব্যটি “পূর্বমেঘ” ও “উত্তরমেঘ” নামে দুটি অংশে বিভক্ত। ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “কালিদাসের মেঘদূত অতি প্রাচীনকালেই জনপ্রিয়তার শিখরে স্থান পেয়েছিল। একদিকে পঞ্চাশটির অধিক টীকা, বহু প্রক্ষিপ্ত শ্লোক, অন্যদিকে এর অনুকরণে পঞ্চাশাধিক দূতকাব্যের রচনা এর জনপ্রিয়তার প্রমাণ।… আধুনিক প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংস্কৃত রসিকেরা এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।”

কালিদাসের মেঘদূতম্ কাব্যের সারবস্তুটি সরল অথচ কাব্যগুণসমন্বিত: কর্তব্যে অসাবধানতায় প্রভুর অভিশাপে যক্ষকে রামগিরি পর্বতের বিজন আশ্রমে নির্বাসিত হতে হয়। সেখানে বসে আষাঢ়ের প্রথম দিবসে নববর্ষার মেঘ দেখে তারই মাধ্যমে অলকাপুরীর রম্যপ্রাসাদে তাঁর বিরহী প্রিয়ার উদ্দেশ্যে বার্তা প্রেরণ করবেন বলে মনস্থির করেন তিনি। বিরহের আতিশায্যে তিনি জড় ও জীবের ভেদাভেদজ্ঞান লুপ্ত হন। তিনি মেঘকে জানাতে থাকেন, কোন কোন নগর, নদী ও পর্বত পেরিয়ে তাকে অলকায় পৌঁছতে হবে। কাব্যের এই অংশে প্রাচীন ভারতের এক অসামান্য ভৌগোলিক বিবরণ ফুটে উঠেছে। এরপর যক্ষ কুবেরপুরী অলকা ও তাঁর বিরহী প্রিয়ার রূপলাবণ্য বর্ণনা করেছেন মেঘের নিকট। অবশেষে মেঘকে অনুরোধ করেছেন, প্রিয়তমার নিকট তাঁর কুশল সংবাদ নিবেদন করতে।


আরো সংবাদ পড়ুন...
Developed By Radwan Ahmed