কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দুইশত বছরের প্রাচীন মঙ্গলচন্ডী মন্দিরে চলছে ৯দিন ব্যাপী নবদুর্গা পূজা। ৯দিনে দেবীর ৯টি রুপের পূজা করা হচ্ছে। সারি সারিভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দেবী দূর্গার ৯টি রুপের ৯টি প্রতিমা। ঢাকের তালে মোহিত হচ্ছে পূজা মন্ডপ। বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা, নিজের ও দেশের মঙ্গল কামনায় দেবীর চরণে অঞ্জলিও দিচ্ছেন ভক্তরা।
গত শনিবার সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইছামতি চা বাগানের ভেতরে মঙ্গলচন্ডী মন্দিরে ৯দিন ব্যাপী এই নবদুর্গা পুজাটি দেবী দূর্গার শৈলপুত্রী রুপের পূজা করার মাধ্যমে শুরু হয়। এভাবে পৌরানিক নিয়ম অনুযায়ী আগামী নবমী তিথি পর্যন্ত ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘন্টা, কুষ্মান্ডা, স্কন্ধমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রী, মহাগৌরী ও সিদ্ধিদাত্রী রূপে পূজা করা হবে। বাংলাদেশের একমাত্র আগাম নবদুর্গা পূজা হিসেবে পালন হয়ে আসছে। এবার তাদের দশম বারের আয়োজন।
সাধারনত শারদীয় দূর্গা পূজা ষষ্টি তিথিতে শুরু হয়ে দশমীতে শেষ হয়। কিন্তু এই পূজা মন্দিরে একটু ব্যতিক্রম আয়োজনে দূর্গা দেবীর ৯টি রুপের পূজা করা হয় দেবীপক্ষের ৯দিনে। তাই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শ’শ’ ভক্ত এ পূজা দেখতে আসেন।
শ্রী শ্রী মঙ্গলচন্ডী সেবাশ্রম পূজা উদযাপন পরিষদের পরিমল ভৌমিক ও পুরোহিত কাজল চক্রবর্তী জানান, এ দেবস্থলটি সর্বাধিক প্রাচীন স্থাপনা হিসেবে পরিচিত। এখানে রয়েছে মঙ্গলচন্ডী দেবীর থলি। অনেকে শ্রীমঙ্গল নামের উৎপত্তিও এই শ্রীশ্রী মঙ্গলচন্ডীর থলি থেকে হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন। ওই ঐতিহাসিক স্থানটিকে ধরে রাখতে এবার দশমবারের মতো পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেবী দুর্গার ৯টি রূপকে বোঝানোর জন্য মূলত নবদুর্গা বলা হয়। শরৎকালে ৯ দিনে প্রতিদিন দেবী দুর্গার এই ৯ রূপের এক একজনকে পূজা করা হয়। এর আগে ২০১১ সালে এই পূজা এখানে শুরু হয়েছিল এখনও সেইভাবে পূজা চলছে।