কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।।
মৌলভীবাজারের সেই সামাজিক মাধ্যমে ও প্রকাশ্যে মাদক সেবনের স্বীকারোক্তি প্রদানকারীদের বিচারের আওতায় আনা ও শহরকে মাদক মুক্ত করার দাবীতে বৃহস্পতিবার শহরে মানববন্ধন এবং স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্টিত হয়েছে।
উল্রেখ্য যে, গত ৩ আগস্ট রাতে শহরের সুনাপুর এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিক মাহমুদ এইচ খান তার বাসায় বন্ধুদের নিয়ে মদ ও গাঁজা পার্টির আসর বসান। ওই সময়ে সেখানে উপস্থিত তাদের এক বান্ধবী ধর্ষনের শিকার হন ।
গত ২৫ আগস্ট মাহমুদ এইচ খান তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে পার্টিতে বন্ধু সজিব কর্তৃক তার বান্ধবীকে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেন। পর দিন ২৬ আগস্ট সজিব ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে মেয়েটির ইচ্ছাতেই সব হয়েছে বলে পাল্টা পোষ্ট দেয়। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয় মৌলভীবাজার জুড়ে। এরই প্রতিবাদে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ডাকে বৃহস্পতিবার শহরে মানববন্ধন এবং স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্টিত হয়েছে।
মানববন্ধন ও পথসভায় বক্তব্য রাখেন, সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা যৌন হয়রানী নির্মূল কমিটির সভাপতি রাশেদা বেগম, সম্মিলিত সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি খালেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলীম উদ্দিন আলীম, শেখ বুরহান উদ্দিন (রহ:) ইসলামী সোসাইটির চেয়ারম্যান এম মুহিবুর রহমান মুহিব, বাঁধন থিয়েটারের সভাপতি রুহেল আহমদ, সমাজসেবক কে,এম,আকলু, তরুণসমাজকর্মী মিজানুর রহমান রাসেল, আদর মাদকাসক্তি পূনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালক নিখিল তালুকদার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মৌলভীবাজার শহর শান্তিপূর্ণ শহর। মাদক ও ধষর্নের ব্যাপারে সরকার যেখানে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছেন সেখানে প্রশাসনের নাকের ডগায় এরকম একটি ঘটনায় বিস্মিত জেলার সর্ব স্তরের মানুষ। হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রহঃ) পূন্যভূমিতে এই বেহায়াপনা, অশ্লিল, অনৈতিক কার্যক্রম কোনভাবেই সহ্য করা যায়না। এখানে মাদকের আসর বসিয়ে মদ্যপ অবস্থায় ধর্ষনের মত ঘটনা ঘটিয়ে তা নিজেদের ফেসবুকে প্রচার করার যে দু:সাহস যারা দেখিয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় জেলার সর্বস্থরের মানুষকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি বাস্তবায়ন করা হবে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ৩১ আগস্ট পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে এক আসামী রায়হান আনছারী সজিবকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের আটকে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা তথ্যের আলোকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাদক ও অনৈতিক কার্যকলাপ ঘটে এমনসব স্থান চিহ্নিত করে অভিযান চালানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।