কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ছুরিকাঘাতে সিএনজি অটো চালক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান জলিল মিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলায় একজন এজাহারভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে ৭ মার্চ রোববার বিকেলে উপজেলার আলীনগর বস্তির মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নিহত অটোচালক আব্দুল জলিল এর বাড়িতে গিয়ে পরিবার সদস্যদেরকে শান্তনা দেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) সংসদ সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ, বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ। তিনি নিহতের পিতা মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস মিয়া ওরফে লাল মিয়ার হাতে নিহতের পরিবারের জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক, কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচাজ ইয়ারদৌস হাসান, আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বাদশা, উপজেলা দুর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল চেয়ারম্যান প্রমুখ।
উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ এমপি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার দাবী জানান।
প্রকাশ্যে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করে সিএনজি অটো চালককে খুন করার ঘটনায় গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া সরেজমিন ঘটনাস্থল ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নিহতের বাড়িতে গিয়ে শোক সন্তপ্ত পরিবার সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন করে সুষ্ঠ বিচার নিশ্চিতকরণে পুলিশি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। এ সময় পুলিশ সুপার তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা নিহত পরিবার সদস্যদের হাতে তুলে দেন।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, শুক্রবার রাতে নিহত সিএনজি অটো চালক জলিল মিয়ার বড় ভাই খলিল মিয়া বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় এজাহারনামীয় আসামী কমলগঞ্জ পৌর এলাকার দক্ষিণ কুমড়াকাপন এলাকার মৃত আকরাম হোসেনের ছেলে আলম হোসেন (৩৫) কে শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ভানুগাছ রেলস্টেশন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার সকালে মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। এ মামলায় আসামী করা হয়েছে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক গোলাম কিবরিয়া শফি, তার ছোট ভাই জেলা যুবদলের নেতা গোলাম রব্বানী তৈমুর, ও তার অপর ভাই কমলগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর গোলাম মুগ্নি মুহিত, সাইফুর রহমান ও আলম হোসেন। এছাড়া আরও ৫/৬ জন অজ্ঞাতনামা আসামী রয়েছে।